ফরিদপুর টু ঢাকা ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়ার তালিকা

হ্যালো ভিউয়ার্স আপনারা কেমন আছেন আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন আমরাও ভালো আছি। আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে ফরিদপুর টু ঢাকা ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়ার তালিকা। আপনারা যদি ফরিদপুর থেকে ঢাকা ট্রেনের সময়সূচী খোঁজাখুঁজি করছেন। তাহলে আমাদের আজকের এই পোস্টটি হতে পারে আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পোড়ে সম্পূর্ণ করেন। তাহলে আপনি খুব সহজেই ফরিদপুর থেকে ঢাকা ট্রেনে চলাচল করতে পারবেন। আমরা নিচে ফরিদপুর টু ঢাকা ট্রেনের সময়সূচী নিয়ে আলোচনা করব।

প্রিয় পাঠক আপনি যদি আমাদের আজকের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়েন। তাহলে ফরিদপুর টু ঢাকা ট্রেনে সুরক্ষিত ও সহজ ভাবে ভ্রমণ করতে পারবেন। আপনি যদি ফ্যামিলি সহ ভ্রমণ করেন তাহলে দরজার পাশে সিট একদম নেবেন না। আর সব সময় চেষ্টা করবেন সিরিয়াল অনুযায়ী টিকিট কাটার এতে করে আপনার ফ্যামিলির সবাই একসাথে ভ্রমণ করতে পারবেন। ট্রেনের ভিতর আপনার প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র সাবধানে নিরাপদ জায়গায় সংরক্ষণ করবেন। এতে করে আপনার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র চুরি বা ডাকাতি হওয়ার ঝুঁকি থাকবে না। জানালার পাশে বসে বা দরজার সাইটে দাঁড়িয়ে ফোন টিপা থেকে বিরত থাকবেন কেননা ট্রেনের ভিতরে ও বাহিরে অনেক ছিনতাইকারী ওত পেতে থাকে। আপনার পিছন পকেটে থাকা মানিব্যাগ অবশ্যই সামনের পকেটে রাখবেন। কারণ ট্রেনের ভিতরে অনেক পকেটমার আপনার প্যান্টের পকেট সুযোগ পেলেই কেটে দিবে।

ফরিদপুর টু ঢাকা ট্রেন ছাড়ার ও পৌছানোর সময়

ফরিদপুর টু ঢাকা রুটে বর্তমানে ২০২৪ সালে তিনটা আন্তঃনগর ও একটা মেইল এক্সপ্রেস চলাচল করে। আন্তঃনগর সুন্দরবন এক্সপ্রেস (৭২৫) আন্তঃনগর মধুমতি এক্সপ্রেস (৭৫৬) আন্তঃনগর বেনাপোল এক্সপ্রেস (৭৯৫) নকশিকাঁথা মেইল এক্সপ্রেস চলাচল করে। এই ট্রেন গুলিতে যাত্রীদের সুবিধার্থে ক্যান্টিন দেয়া হয়েছে যাতে করে যাত্রীরা বাইরের কোন খাবার যেমন: পেয়ারা, আমরা, ঝাল মুড়ি, বিভিন্ন ধরনের চাটনি খেয়ে যাত্রীরা অসুস্থ না হয়। কারণ এগুলো সব সময় ঢাকনা ছাড়া খোলামেলা অবস্থায় নিয়ে তারা এদিক ওদিক বিক্রি করে বেড়ায়। এগুলোতে ঢাকনা না দেওয়ার কারণে অনেক ধুলোবালি ও জীবাণু মিশে যায় যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। তাই আপনারা এইসব খাবার থেকে বিরত থাকবেন প্রয়োজনে ক্যান্টিনে ফ্যামিলিসহ বসে খাবার খেতে পারেন।

ফরিদপুর টু ঢাকা ট্রেনের সময়সূচী

যাত্রীদের সুবিধার জন্য এই ট্রেন গুলিতে দেয়া আছে টয়লেট যাতে যাত্রীরা ভ্রমণ করার সময় টয়লেট পেলে তারা এখান থেকে সেরে নিতে পারে। এই ট্রেনগুলোর সিট অনেক আরামদায়ক হয়ে থাকে

আমরা আপনাদের সুবিধার জন্য আমাদের এই আর্টিকেল টিতে ট্রেনের অনলাইন টিকিট কাটার ওয়েবসাইট দিয়েছি। যেন আপনারা কোন রকম দুশ্চিন্তা ছাড়াই এখান থেকে অনলাইন টিকিট কাটতে পারেন। তবে আপনারা চাইলে আপনাদের পার্শ্ববর্তী রেলওয়ে স্টেশন থেকে কাউন্টারে টিকিট কাটতে পারেন।

ভাড়ার তালিকা

আপনারা অনেকেই জানেন আন্তঃনগর ও মেইন এক্সপ্রেস এর ট্রেন গুলির ভাড়া অন্যান্য ট্রেন বা গাড়ি তুলনায় অনেক মাত্রায় কম হয়ে থাকে। যাতে করে যাত্রীরা অল্প খরচে ভ্রমণ করতে পারে ট্রেন ছাড়া অন্যান্য গাড়ি যেমন: বাস, মাইক্রোবাসের ভ্রমণ করতে চাইলে গুনতে হয় হাজার হাজার টাকা। ফরিদপুর টু ঢাকা রুটে চলাচলকারী ট্রেনগুলো অনেক স্টেশনে স্টপেজ বিরতি দিয়ে থাকে। এরমধ্যে আন্তঃনগর সুন্দরবন এক্সপ্রেস আন্তঃনগর বেনাপোল এক্সপ্রেস যেসব স্টেশনে স্টপেজ বিরতি দেয়। ফরিদপুর রেলওয়ে স্টেশন, ভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন। আন্তঃনগর মধুমতি এক্সপ্রেস যে স্টেশন গুলোতে স্টপেজ বিরতি দেয়। ফরিদপুর রেলওয়ে স্টেশন, তালমা রেলওয়ে স্টেশন, পুকুরিয়া রেলওয়ে স্টেশন, ভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন, শিবচর রেলওয়ে স্টেশন, পদ্মা রেলওয়ে স্টেশন, মাওয়া রেলওয়ে স্টেশন, ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন। নিচে ট্রেন ছাড়া ও পৌঁছানোর এবং ভাড়ার তালিকা টেবিল আকারে দেয়া হলো।

ট্রেন ছাড়া ও পৌঁছানোর সময় এবং ভাড়ার তালিকা টেবিল আকারে দিয়ে দেন

শেষের কিছু কথা

তো ভিউয়ার্স আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য। সেই সাথে আরো ধন্যবাদ জানাই শেষ পর্যন্ত আমাদের পাশে থাকার জন্য। আপনার যদি আমাদের আজকের আর্টিকেল ফরিদপুর টু ঢাকা ট্রেনের সময়সূচী ভালো লাগে। তাহলে আপনার বন্ধুদের কাছে শেয়ার করতে পারেন। আর আমাদের ওয়েবসাইটটি সাবস্ক্রাইব করে পাশে থাকুন। আপনারা যদি আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে চান তাহলে কমেন্ট করে জানান। কারণ আমাদের সাথে যোগাযোগ করার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে কমেন্ট বক্স। সবাই ভালো থাকবেন ধন্যবাদ।